১) বৈদিকধর্মের কঠোরতা, যাগযজ্ঞ, জাতিভেদপ্রথা ও আচারসর্বস্ব ধর্মমতের পরিবর্তে বৌদ্ধধর্ম সকলের জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।
২) বৌদ্ধধর্মে পুরুষের মতােই নারীদের সমানাধিকার দেওয়া হয়। অনেক সময় নারীরা বৌদ্ধ সংঘ পরিচালনা করতেন। ফলস্বরূপ ভারতীয় নারীরা শিক্ষিত ও আত্মমর্যদাসম্পন্ন হয়ে ওঠেন
৩) বুদ্ধদেব ধনীদরিদ্র, উচ্চনীচনির্বিশেষে সকলের জন্য তাঁর ধর্মের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। রাজা বিম্বিসার, অজাতশত্রু, ধনী বণিক অনাথপিন্ডক, সারিপুত্ত, সমাজের নিম্নবর্ণের মানুষ আনন্দ ও উপালি, দস্যু অঙ্গুলীমাল, পতিতা আম্রপালি সকলকেই বুদ্ধদেব আপন ভেবে কাছে টেনে নেন।
৪) বুদ্ধদেব প্রচলিত সংস্কৃত ভাষার জটিলতা ত্যাগ করে কথ্য ভাষা বা পালির ওপর গুরুত্ব আরােপ করেছিলেন, এর ফলে পালি ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
৫) বৌদ্ধধর্মে বাণিজ্যিক লেনদেন, যুদ্ধে অর্থ ধার দেওয়া এবং সমুদ্রযাত্রাকে অনুমােদন করা হয়েছে।