প্রথম অংশ : বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা বাসনা অবসানের জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের সন্ধান দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় অংশ : অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম মঝিম বা মধ্যপন্থা।
তৃতীয় অংশ :
পঞ্চযাম বা পঞ্চমহাব্রত : খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রতিবাদী ধর্মমত হিসাবে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মমতের উদ্ভব ঘটে।
জৈনধর্মের অন্যতম প্রচারক ছিলেন মহাবীর। তিনি মােক্ষ বা মুক্তিলাভের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন এবং মুক্তিলাভের পথ হিসাবে পঞ্চম বা পমহাব্রত-এর কথা প্রচার করেন। প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে মহাবীর প্রবর্তিত পঞ্চযামকে কোনাে নতুন ধর্মমত বলা যায় না। কারণ তিনি তাঁর পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের চতুর্যামবা চারটি নীতিকে গ্রহণকরেন এবং তাতে তিনি কিছু নতুন নীতি সংযােজন করেন মাত্র। চতুর্যামে বলা হয়েছে যে—(১) অহিংসা বা জীব হত্যা না করা। (২) সত্যবাদিতা বা মিথ্যা কথা না বলা। (৩) অচৌর্য বা চুরি না করা। (৪) অপরিগ্রহ বা বিষয়সম্পত্তি বা কোনাে কিছুর প্রতি মায়ায় আবদ্ধ না হওয়া। (৫) পরবর্তীকালে মহাবীর এই চারটি নীতির সঙ্গে আর একটি নীতি যুক্ত করেন চর্য। ব্ৰত্মচর্য ব্রত যােগ করার ফলে জৈনধর্মের মূলনীতি হয় পাঁচটি যা পঞ্চম বা পমহাব্রত নামে পরিচিত।
● বস্তুত পার্শ্বনাথের প্রবর্তিত ধর্মমতের সংস্কার করে মহাবীর তাঁকে নতুন জনপ্রিয়তা দেন। এই জনপ্রিয়তার সুবাদে প্রধান আক্ষরিক অর্থে জৈনধর্মের প্রতিষ্ঠাতা না হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনিই এই ধর্মের মূল প্রবক্তা ও প্রচারক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।