সূচনা: গুপ্ত রাজা মহাসেনগুপ্তের অধীনে সামান্য একজন মহাসামন্ত হিসেবে শশাঙ্ক (নরেন্দ্রাদিত্য জীবন শুরু করেন পরবর্তীকালে তিনি বঙ্গে গৌড় নামে এক স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
শশাঙ্কের বিখ্যাত হওয়ার কারণ ----
[1] রাজ্যজয়: শশাঙ্ক সমগ্ৰ গৌড় দেশে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। তিনি দণ্ডভুক্তি, উৎকল ও কঙ্গোদ রাজ্য (গঞ্জাম জেলা), অধিকার করেছিলেন| মগধ বুদ্ধগয়া অঞ্চলও তিনি নিজ রাজ্যভুক্ত করেন। তাঁর রাজ্যসীমা উত্তর-পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
[2] ঐক্য ও সংহতি স্থাপন: শশাঙ্কই প্রথম বাংলার ঐক্য ও সংহতি স্থাপন করে বাংলার সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান। তার এই রাজ্যজয় নীতি অনুসরণ করেই পরবর্তীকালে পাল রাজারা এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পেরেছিলেন।
[3] আর্যাবর্তে বাঙালি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা: প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শশাঙ্ক। তিনি উত্তর ভারতেও আংশিক আধিপত্য বিস্তার করেন।
[4] গৌড়তন্ত্র: শশাঙ্কের গৌড়ে গড়ে ওঠা আমলাতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা গৌড় নামে পরিচিত। শশাঙ্কের গড়া গৌড়ের রাজতন্ত্র বিষয়ে ড. নীহাররঞ্জন রায় বলেছেন, “এই রাজতন্ত্র আসলে
গৌড়তন্ত্র”।
মূল্যায়ন: বস্তুত শশাঙ্কের কৃতিত্বের জন্যই বাংলা এক অখন্ড ও স্বাধীন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছিল।