উত্তর: ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পটি বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।
2. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী ?(মাধ্যমিক, ২০১৯)
উত্তর: ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের গল্পকার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
3. ‘আমি চললাম হে!'— কে, কাকে এই কথা বলেছে?
উত্তরঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদ তার নতুন সহকারীকে এই কথাটি বলেছে।
4.‘আমি চললাম হে!’—কখন বক্তা এই কথাটি বলেছে?
উত্তরঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের প্রধান চরিত্র স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ চারটে পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেন রওনা করিয়ে দেওয়ার পর এই কথা বলেছে।
5.‘আমি চললাম হে!'—বক্তা কোথায় চলেছে?
উত্তরঃ বক্তা নদেরচাঁদ তার কর্মস্থল থেকে এক মাইল দূরে নদীর উপরের ব্রিজের দিকে চলেছে।
6.নদেরচাঁদ কত দূরে, কোথায় হাঁটতে শুরু করেছিল?
উত্তরঃ নদেরচাঁদ রেললাইন ধরে এক মাইল দূরে নদীর উপরের ব্রিজের দিকে হাঁটতে শুরু করেছিল।
7.পাঁচ দিন নদেরচাঁদ নদীকে দেখতে পায়নি কেন?
উত্তরঃ পাঁচ দিন অবিরত বৃষ্টি হওয়ার জন্য নদেরচাঁদ নদীকে দেখতে পায়নি।
8.ক-দিন ধরে অবিরত বৃষ্টি হচ্ছিল?
উত্তরঃ পাঁচ দিন ধরে অবিরত বৃষ্টি হচ্ছিল।
9.পাঁচ দিন নদীকে দেখতে না পেয়ে নদেরচাদের অবস্থা কীরকম হয়েছিল?
উত্তরঃ পাঁচ দিন নদীকে না দেখতে পেয়ে নদেরচাঁদ নদীকে দেখার জন্য ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্যবোধ করেছিল।
10.পাঁচ দিনের আকাশভাঙা বৃষ্টিতে নদীর রূপ কেমন হবে বলে নদেরচাঁদ কল্পনা করেছিল?
উত্তরঃ পাঁচ দিনের আকাশভাঙা বৃষ্টির পর মাঠঘাটকে জলে পরিপূর্ণ অবস্থায় দেখে নদেরচাঁদ মনে মনে বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদীর এক অপরূপ রূপ কল্পনা করেছিল।
11.নদেরচাঁদের বয়স কত? এই বয়সেও কার প্রতি তার আকর্ষণ বেশি?
উত্তরঃ নদেরচাঁদের বয়স ত্রিশ। ত্রিশ বছর বয়সে এসেও নদীর প্রতি নদেরচাঁদের আকর্ষণ বেশি।
12.নদীর জন্য নদেরচাঁদের পাগল হওয়া সাজে না কেন?
উত্তরঃ নদেরচাঁদ একজন স্টেশনমাস্টার। দিনরাত্রির মেল, প্যাসেঞ্জার আর মালগাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব যাদের সে তাদেরই একজন। তাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন ব্যক্তির নদীর জন্য পাগল হওয়া সাজে না বলে নদেরচাঁদ মনে করেছে।
13.‘নদেরচাঁদ সব বোঝে’—নদেরচাঁদ কী বোঝে?(মাধ্যমিক, ২০১৮)
উত্তরঃ নদেরচাঁদ বোঝে যে, স্টেশনমাস্টারের দায়িত্বপরায়ণ জীবিকা এবং সংসারের প্রতি কর্তব্যে ত্রিশ বছর বয়সে নদীর জন্য ব্যাকুলতা তার বেমানান।
14.‘যেন আনন্দই উপভোগ করে।'— -কে, কীসে আনন্দ উপভোগ করে?
উত্তরঃ ত্রিশ বছর বয়সি স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ জানে নদীর জন্য পাগলামি তাকে মানায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের এই পাগলামিতে সে আনন্দই উপভোগ করে।
15. নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত নদেরচাঁদ কেন দিতে পারে?
উত্তর: নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিতে পারে কারণ নদীর ধারেই তার জন্ম, নদীর ধারেই তার বড়ো হয়ে ওঠা, তাই নদীর প্রতি তার ভালোবাসা সহজাত।
16.নদেরচাঁদের দেশের নদীটি কীরকম ছিল?
উত্তরঃ নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ক্ষীণস্রোতা এবং নির্জীব ছিল।
17. দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি একবার নদেরচাঁদকে খুব কষ্ট দিয়েছিল কেন?
উত্তর: নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটির ক্ষীণস্রোতধারা অনাবৃষ্টির ফলে প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় নদেরচাদের খুব কষ্ট হয়েছিল।
18. ব্রিজের কাছাকাছি এসে নদেরচাঁদ নদীর দিকে তাকিয়ে স্তম্ভিত হয়েছিল কেন?
উত্তর: ব্রিজের কাছাকাছি এসে নদেরচাঁদ নদীর দিকে তাকিয়ে স্তম্ভিত হয়েছিল কারণ, সে দেখেছিল পাঁচ দিন আগে দেখা বর্ষার জলে পরিপুষ্ট নদীর পঙ্কিল চঞ্চলধারা যেন উন্মত্ত হয়ে ফুলেফেঁপে ফেনিলোচ্ছল হয়ে ছুটে চলেছে।
19. পাঁচ দিন পূর্বে নদেরচাঁদ নদীর কী রূপ দেখে গিয়েছিল ?
উত্তর: পাঁচ দিন পূর্বে নদেরচাঁদ দেখেছিল, নদী বর্ষার জলে পরিপুষ্ট। নদীর পঙ্কিল জলস্রোতে সে চাঞ্চল্য দেখেছিল, যাতে ছিল পরিপূর্ণতাজনিত আনন্দের প্রকাশ।
20.পাঁচ দিন পর নদেরচাঁদ নদীর কী রূপ দেখেছিল?
উত্তরঃ পাঁচ দিন অবিরত বৃষ্টির পর নদেরচাঁদ দেখেছিল যে, নদীর গাঢ়তর পঙ্কিল জল ফেনিলোচ্ছল হয়ে ছুটে চলেছে।
21.পাঁচ দিন পর নদীকে দেখে নদেরচাঁদের কীরকম অনুভূতি হয় ?
উত্তরঃ পাঁচ দিন অবিরত বর্ষণের পর নদীকে দেখে নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে যায়। সে দেখে তার পরিচিত সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর পঙ্কিল জল উন্মত্ত হয়ে ছুটে চলেছে। নদীর প্রবল স্রোতে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
22.কোথায় বসে নদেরচাঁদ প্রতিদিন নদীকে দেখে?
উত্তর: নদেরচাঁদ প্রতিদিন সেতুর মাঝামাঝি ইট, সুরকি আর সিমেন্টে গাঁথা ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে বসে নদীকে দেখে।
23.কীভাবে নদীতে আবর্ত রচিত হয়েছিল?
উত্তর: বর্ষার জলে পুষ্ট নদীর জলস্রোত ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বাধা পেয়ে আবর্ত রচনা করেছিল।
24.‘মনে হয় ইচ্ছা করিলে বুঝি হাত বাড়াইয়া স্পর্শ করা যায়।'—কার এরূপ অনুভূতি হয়েছিল?
উত্তরঃ নদীর জল ধারকস্তম্ভে বাধা পেয়ে উঁচুতে উঠে আসার কারণে নদেরচাদের মনে হয়েছিল ইচ্ছা করলে বুঝি হাত বাড়িয়ে নদীর জলকে স্পর্শ করা যায়।
25.‘এক একখানি পাতা ছিঁড়িয়া দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা জলে ফেলতে লাগল ? (মাধ্যমিক, ২০১৭)
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প থেকে সংকলিত উদ্ধৃত অংশে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি নদেরচাঁদ পকেটের একটি পুরোনো চিঠির পাতা জলে ফেলতে লাগল।
26.পুরোনো একটি চিঠি স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিলে কী ঘটেছিল?
উত্তর: পুরোনো একটি চিঠি স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিলে মুহূর্তের মধ্যে চিঠিটি কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।