‘সিরাজদৌল্লা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজদ্দৌল্লার চরিত্র বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। [মাধ্যমিক ২০১৭]

উত্তর– শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকের প্রধান চরিত্র হল বাংলার নবাব সিরাজ। আলোচ্য নাট্যাংশে সিরাজ চরিত্রের যে দিকগুলি ফুটে উঠেছে সেগু

উত্তর শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রধান চরিত্র হল বাংলার নবাব সিরাজ। আলোচ্য নাট্যাংশে সিরাজ চরিত্রের যে দিকগুলি ফুটে উঠেছে সেগুলি হল- ১) দক্ষ শাসক- সিরাজ একজন দক্ষ নবাব ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব রাজকর্মচারী ষড়যন্ত্রের জাল রচনা করেছিল তাদের সকলকে তিনি হাতেনাতে ধরেছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসের গোপন চিঠি তিনি যেমন আবিষ্কার করেছিলেন তেমনি তাঁর অনেক সভাসদের কুকীর্তির কথাও তিনি জানতেন। ২) বিচক্ষণ- সিরাজ একজন বিচক্ষণ রাজনীতিক ছিলেন। তাঁর অনেক সভাসদ ইংরেজদের সঙ্গে হাত মেলালেও তিনিই প্রথম বুঝেছিলেন ইংরেজদের দুরভিসন্ধির কথা। ৩) দেশপ্রেমী- মীরজাফর সহ অনেক রাজকর্মচারী নবাব-বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সিরাজ তাদের শাস্তি দেননি বরং বাংলার দুর্দিনে হাতে হাত রেখে লড়াই করার জন্য তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশকে ভালোবেসে তিনি তাঁর সভাসদদের অপরাধ মার্জনা করে দিয়েছিলেন। ৪) অসাম্প্রদায়িক- সিরাজ নিজে একজন মুসলমান হলেও বাংলার মাটিতে হিন্দুদের সমান অধিকারের কথা বলেছেন। তাঁর মতে, “মিলিত হিন্দু-মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা। ৫) দূরদর্শী- ইংরেজরা জোর করে ফরাসি বাণিজ্যকুঠি দখল করছে জেনেও সিরাজ নিজের সৈন্যবল এবং রাজকোষের কথা ভেবে ইংরেজদের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে চাননি। ৬) মানবিক- ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা-র প্রতি তাঁর বিনয়, ঘসেটি বেগমের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং বিপথগামী সভাসদদের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি সিরাজ চরিত্রটিকে আরো বেশি মানবিক করে তুলেছে।

Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box