“ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না । ” — ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তাকে সত্যিই তোমার ‘ অনাবশ্যক ' বলে মনে হয় কি ?
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে কিছু শিল্পসৃষ্টির কথা বলা হয
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে কিছু শিল্পসৃষ্টির কথা বলা হয়েছে । যেমন — কবিতা , গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য , নাটক , সিনেমা প্রভৃতির চর্চা ।
আলোচ্য গল্পে লেখক ৩৫৮৯ সালের যে সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন , সেই সময়ে মানুষ বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছুর চর্চাই করবে না হয়তো , তাই তাদের কাছে মনের আবেগের কোনো মূল্য থাকবে না । তাই শিল্পেরও কোনো মর্যাদা থাকবে না । কিন্তু আমার মনে হয় মনের আবেগ হারিয়ে গেলে পৃথিবীটা মরুভূমির মতোই রুক্ষ হয়ে পড়বে । পৃথিবীকে তথা মানুষকে তো বাঁচিয়ে রাখবে মনের আবেগ । কবিতা , গান , ছবি আঁকা প্রভৃতি চর্চা করলে , এগুলির মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাবে । তাই কবিতা , গান , আঁকা প্রভৃতির চর্চাকে ‘ অনাবশ্যক ’ মনে করি না ।