“ ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে । ” — ব্যতিক্রমী মানুষটি কে ? কীভাবে তিনি ‘ ব্যতিক্রম ’ হয়ে উঠেছিলেন ?

উত্তর : প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে । এখানে ব্যতিক্রমী মানুষটি হল

উত্তর : প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে । এখানে ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন স্বয়ং পাগলা গণেশ । এই গল্পে বর্ণিত ৩৫৯৮ সালেরও ১৫০ বছর পূর্বে যখন ‘ মৃত্যুঞ্জয় ‘ টনিক ’ আবিষ্কৃত হয় , তখন অন্য অনেকের মতো গণনাও তার ৫০ বছর বয়সে তা পান করেন এবং তার আর মৃত্যু হয় না । প্রায় সমসময় থেকেই শিল্পবিরোধী আন্দোলনও শুরু হয় । মানুষের কাছে তখন থেকেই বিজ্ঞান হয়ে ওঠে চর্চার একমাত্র বিষয় । চর্চার বিষয় থেকে অনিবার্যভাবে বাদ পড়ে যায় সাহিত্য , শিল্প , সংগীত । বিষয়গুলিকে মানুষ অনাবশ্যক বলে বিবেচিত করে । সমকালীন ঘটনার এই গতিপ্রকৃতি গণেশের পছন্দ হয় না । বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও যে একটা সীমা থাকা দরকার এ তার মনে হয় । তাই একক প্রচেষ্টায় কালের গতিকে উলটো দিকে ফেরানোর ব্যর্থ চেষ্টা না করে গণেশ আশ্রয় নেন সভ্যসমাজ থেকে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহায় । একান্ত নির্জনে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টায় গণেশ করতে শুরু কবিতাচর্চা , গান গাওয়া , ছবি আঁকার সাধনা । এভাবেই তিনি বেগের যুগে আবেগনির্ভরতার পথে , যুগবিরুদ্ধ কাজ করে ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠেন ।

Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box