ন্যায় বলতে কী বোঝ ? ন্যায়ের প্রকৃতি বিশ্লেষণ কর ?
উত্তর:- দার্শনিকদের রিপাবলিক গ্রন্থে ন্যায়ের উল্লেখ রয়েছে। স্বাধীনতার অধিকার ও সাম্যের মতো ন্যায় আদর্শ গণতান্ত্রিক সাম্য গঠন মধ্যে ঐক্যগত ভাবে অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয় নেই বলতে কী বোঝায় তার প্রকৃতি কি তা নিয়ে রাষ্ট্র দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে বিবেচিত হয়েছে এই হেরল প্রটার মন্তব্য করেছেন অধিকাংশ মানুষ মনে করেন যে তারা ন্যায় অর্থ বোঝেনা কিন্তু তাদের এরূপ ধারণা যে অস্পষ্ট তা বাস্তবে প্রকাশিত হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ে সমাজের ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও নেই সর্বস্ব রাজ্য সংজ্ঞা ও প্রকৃতি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি কারণ সমাজে অগ্রগতি সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ধ্যান-ধারণা মূল্যবোধ সামাজিক সচেতনতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাধিত হয়েছে। এরুপ পরিবর্তনের স্বাধীন রাই ন্যায় ধারণাগত পরিবর্তন ঘটা স্বাভাবিক সুতরাং বলা যায় দেশ কাল ও পাত্র ভেদে ন্যায়ের ধারণা ভিন্ন ভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে।
দেশ কাল ও পাত্র ভেদে ন্যায়ের প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে প্রধানত এক উদারনৈতিক এবং এই মার্কসীয় এই দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে ন্যায়ের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি:- ন্যায় সমাজে উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অন্যতম প্রধান প্রবক্তা হলেন আর্নেস্ট বার্কার তার মতেই ন্যায় হলো একটি সামাজিক বাস্তবতা কোন বিমূর্ত ধারণা নয় নেয় কেবল স্বাধীনতা সাম্য ও তা নীতিগুলি কিংবা সাবেকই নীতির বিভিন্ন রূপে মধ্যে বিরোধ মীমাংসা মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করে না। সেই সঙ্গে তা সমাজের শক্তিবর্গের পরস্পর বিরোধী দাবির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে । তবে তার মতে আইনের মধ্যে বৈধতা এবং নৈতিক মূল্য উভয়ই বর্তমান থাকা প্রয়োজন। আইন ও নৈতিকতা অভিন্ন না হলেও তাদের উভয়কেই এক সূত্রে গ্রথিত করে। তিনি ন্যায় কে রুশোর ধারণা বলে চিহ্নিত করেছেন কারণ প্রকৃতিগত অর্থে তা যেমন রক্ষণশীল অন্যদিকে তা সংস্কার বাদীও বটে।
মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি:- উদারনীতিগণের দৃষ্টিকোণ থেকে মাক্সি ও দৃষ্টিকোণ সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির মার্কসবাদ অনুসারী বর্ণ বৈষম্য মূলক সমাজে কখনোই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় মার্কসবাদী গুণীরা কেবলমাত্র অর্থ ন্যায় বিচারকেই বোঝেনা পুঁজিবাদী সময়ে বিত্তবান প্রস্তুতকারী শ্রেণী অর্থনৈতিক সমতা আদর্শকে কখনোই মেনে নেয় না যার ফলে পুঁজিবাদী সময়ে মুষ্টিমেয় বিত্তবান শ্রেণী স্বার্থে পরিচালিত রাষ্ট্রযন্ত্র কখনোই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেনা। এমনকি মার্কসের মতে পুঁজিবাদী সমাজে বন্টনমূলক ন্যায় দ্বারা শ্রেণী শোষণ থেকেই শ্রমিক শ্রেণী মুক্ত করা যায় সমগ্র উৎপাদন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার মালিক শ্রেণী স্বার্থে পরিচালিত হয়। ফলে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলিতে আইন বিভাগ বিচার বিভাগ রয়েছে। সেগুলি কোনটি শ্রমিক শ্রেণী খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে পরিচালিত হয় না তাই মার্কসবাদীদের মতে যে সমাজে উৎপাদনের সমাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় কেবল সেই সমাজে সমস্ত শ্রেণীর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সম্ভব। এক্ষেত্রে পুঁজিবাদের অবসানের পর একমাত্র সমাজতান্ত্রিক সমাজ ন্যায়বিচার বলে মার্কসবাদীরা মনে করেন।
1. আইন বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- উইলসন আইনের সঙ্গা দিতে গিয়ে বলেছেন, আইন বলতে মানুষের আচরণ চিন্তার সেই সব অংশ কে বোঝায় যাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যা সুস্পষ্ট ও সরকার দ্বারা সমষ্টিত।
2. আইনের প্রধান উৎস গুলি কী কী?
উত্তর:- আইন হঠাৎ রাষ্ট্র শক্তি দ্বারা গড়ে ওঠেনি। আইনের গড়ে ওঠার কারণে পিছনে কতগুলি উৎস কাজ রয়েছে :-
1. প্রথা
2. ধর্ম
3. আদালত সিদ্ধান্ত
4. বিজ্ঞান ও সম্ম ও আলোচনা
5. ন্যায় নীতি
6. আইন সভা
3. স্বাধীনতার সংরক্ষণ গুলি কী কী?
উত্তর:- স্বাধীনতার অপব্যবহার না দিয়ে তা সংরক্ষণ পদ্ধতি হল স্বাধীনতা রক্ষাকবচ।
স্বাধীনতার রক্ষাকবচ গুলি হল:-
1. সংবিধান মৌলিক অধিকার স্বীকৃতি
2. বিচার বিভাগ স্বাধীনতা ও ক্ষমতা
3. স্বতন্ত্রীকরণ নীতি
4. আইনের অনুশীলন
5. দ্বায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা
6. গণভোট, গণউদ্যোগ, পদচ্যুতি
7. সদা জাগ্রত জনমত
4. রুশোর মতে স্বাধীনতা কী?
5. সাম্যের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।