রহস্যময় মন্দির🛕🕯️

রহস্যময় মন্দির🛕🕯️

শুভ আর তার বন্ধুরা এইবার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য পাহাড়ের উপরে একটি পুরনো, পরিত্যক্ত মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। গ্রামবাসীরা বহু বছর ধরে এই মন্দির এড়িয়ে চলত, কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল মন্দিরে কিছু অদৃশ্য শক্তি বাস করে। কিন্তু শুভ এবং তার বন্ধুরা এসব কথায় ভয় পেত না। তারা ঠিক করল, এই রাতে মন্দিরে রাত কাটিয়ে দেখবে আসলে কী রহস্য লুকিয়ে আছে। 🌄

পাহাড়ের সরু পথ ধরে চলতে চলতে সন্ধ্যা নেমে এল। তাদের সামনে মন্দিরটি দেখা গেল—একটি বিশাল প্রাচীন মন্দির, যার গায়ে পাথরের ওপর অদ্ভুত কিছু খোদাই করা ছিল। মন্দিরের দরজা বন্ধ ছিল, কিন্তু দরজার পাশে একটি মোমবাতি জ্বলছিল, যা তাদেরকে আরও আতঙ্কিত করে তুলল। 🔥🕯️

বন্ধুরা একে একে মন্দিরে প্রবেশ করল। ভিতরে ঢুকে তারা দেখতে পেল, চারদিকে অন্ধকার, আর কিছু প্রাচীন মূর্তি যা দেখতে ভয়ানক ছিল। কিন্তু সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার ছিল, মন্দিরের এক কোণে পড়ে থাকা একটা পুরনো পুঁথি। শুভ সেই পুঁথিটি খুলে দেখল, সেখানে লেখা ছিল, “যে এখানে প্রবেশ করবে, তাকে দিতে হবে এক ভয়ঙ্কর মূল্য!” 📜

ঠিক তখনই মন্দিরের দরজা নিজে নিজে বন্ধ হয়ে গেল, এবং চারদিক থেকে হালকা শীতল বাতাস বইতে শুরু করল। শুভ হঠাৎ দেখতে পেল, মন্দিরের মূর্তিগুলোর চোখ যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, আর যেন তারা জীবন্ত হয়ে যাচ্ছে! 😱🗿

রাজু চিৎকার করে উঠল, “আমরা এখানে আটকে পড়েছি! এ জায়গা অভিশপ্ত!” বিজয় বলল, “দরজা খুলতে হবে! দরজা বন্ধ কেন হয়ে গেল?”

ঠিক তখনই মন্দিরের মেঝে কেঁপে উঠল, এবং এক রহস্যময় ছায়ামূর্তি ধীরে ধীরে তাদের সামনে আবির্ভূত হলো। সেই ছায়ামূর্তিটি তাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকল। শুভ প্রচণ্ড ভয় পেলেও সাহস করে এগিয়ে গেল এবং জিজ্ঞেস করল, “তুমি কে? আমরা এখানে কী ভুল করেছি?”

ছায়াটি এক নিমেষে গায়েব হয়ে গেল। কিন্তু তার আগে সে একটি কথা বলে গেল—“তোমরা এই মন্দিরের ইতিহাস জান না। যে একবার এখানে প্রবেশ করেছে, সে কখনোই মুক্তি পায়নি।”

বন্ধুরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেল। তারা বুঝতে পারল, এ মন্দির শুধু প্রাচীন নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ভয়ঙ্কর অতীত। তাদের শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল, এবং তারা দরজা খোলার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করতে লাগল। দরজাটি অবশেষে খুলে গেল, এবং তারা দৌড়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে এল। 🏃‍♂️🏞️

পাহাড় থেকে নেমে এসে তারা গ্রামবাসীদের জানাল যে মন্দিরে কী ঘটেছে। গ্রামবাসীরা বলল, সেই মন্দিরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। কেউ জানে না কেন এই মন্দিরে ঢুকলে কেউ আর মুক্তি পায় না, কিন্তু শুভ এবং তার বন্ধুরা জানত—এ অভিশাপ সত্যি।

শেষ... 🛕🌫️

এই গল্পটা কেমন লাগল?


Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box