জীবাশ্ম জ্বালানী কি ? এর বৈশিষ্ট্য লেখো ? এর সংরক্ষণের উপায়গুলি লেখো ?
জীবাশ্ম জ্বালানী কি?
জীবাশ্ম জ্বালানী - হলো এমন এক ধরনের প্রাকৃতিক জ্বালানি, যা কোটি কোটি বছর আগে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ মাটির নিচে উচ্চ তাপ ও চাপে রূপান্তরের ফলে তৈরি হয়েছে।
উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল (পেট্রোল, ডিজেল), প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।
জীবাশ্ম জ্বালানীর বৈশিষ্ট্য:
1. ✅ **অপচয়যোগ্য সম্পদ** – একবার ব্যবহার করলে পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
2. 🔥 **উচ্চ তাপন মুল্য** – খুব বেশি পরিমাণে তাপ শক্তি উৎপন্ন করে।
3. 🛢️ **দূষণ সৃষ্টি করে** – দহনের ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি হয়।
4. ⛽ **সহজলভ্যতা হ্রাস পাচ্ছে** – ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে কারণ এগুলো পুনরায় সৃষ্টি হতে কোটি বছর লাগে।
5. ⚙️ **বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হয়** – পরিবহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
6. 💰 **খরচ সাপেক্ষ** – তুলনামূলক ব্যয়বহুল এবং আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়।
জীবাশ্ম জ্বালানীর সংরক্ষণের উপায়:
1. ✅ **জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার** করা
2. 🌱 **পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎস** (যেমন: সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলশক্তি) ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া
3. 🚌 **সার্বজনীন পরিবহন ব্যবহারে উৎসাহ** – ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে বাস, ট্রেন ব্যবহার করা
4. ⚙️ **উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার** – কম জ্বালানিতে বেশি কার্যক্ষম যন্ত্রপাতি ব্যবহার
5. 🌳 **বনায়ন ও গাছ লাগানো** – পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে
6. 📢 **সচেতনতা বৃদ্ধি** – জনসাধারণের মধ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ সম্পর্কে শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি।