গ্রিন হাউস কি ? এর প্রভাব কি ?
গ্রিনহাউস হলো একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেখানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গ্যাসগুলি সূর্যের তাপকে আটকে রাখে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। এর প্রধান প্রভাব হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন।
গ্রিনহাউস প্রভাব কি?
গ্রিনহাউস প্রভাব একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা পৃথিবীর তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছায়, তখন তার কিছু অংশ প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়। কিন্তু কিছু অংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নামক কিছু গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা শোষিত হয়। এই গ্যাসগুলি তাপকে আটকে রেখে পৃথিবীর পৃষ্ঠকে আরও উষ্ণ করে তোলে। এই প্রক্রিয়াজোর গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে নির্গত তাপকে পুনরায় বিকিরিত করে, যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে.
গ্রিনহাউস প্রভাবের প্রধান প্রভাবগুলো হল:
বিশ্ব উষ্ণায়ন:
গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে, যা বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ.
জলবায়ু পরিবর্তন:
বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, যার ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে.
সাগরের স্তর বৃদ্ধি:
মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে.
বৃষ্টির ধরন পরিবর্তন:
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টির ধরন ও সময়কালে পরিবর্তন আসছে, যা কৃষি এবং জল সম্পদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে.
প্রকৃতিতে পরিবর্তন:
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং কিছু প্রজাতি বিলুপ্তির পথে.
গ্রিনহাউস গ্যাস:
গ্রিনহাউস প্রভাবের জন্য দায়ী প্রধান গ্যাসগুলো হলো:
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2):
জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, শিল্প কার্যাবলী এবং বনভূমি ধ্বংসের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়.
মিথেন (CH4):
কৃষি, পশু পালন এবং জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প থেকে মিথেন নির্গত হয়.
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O):
কৃষি এবং শিল্প কার্যাবলী থেকে নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত হয়.
জলীয় বাষ্প (H2O):
জলীয় বাষ্প প্রাকৃতিক গ্রিনহাউস গ্যাস, তবে মানুষের কার্যকলাপ এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে.
অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস:
ফ্লোরিনেটেড গ্যাসগুলিও গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে.