1. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কী?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে কম্পিউটার ও মেশিনকে মানুষের মতো চিন্তা, শেখা, সিদ্ধান্ত নেওয়া ও কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
2. AI-এর জনক কে?
AI-এর জনক হলেন John McCarthy। তিনি 1956 সালে “Artificial Intelligence” শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন।
3. AI-এর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
AI-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মেশিনকে এমনভাবে তৈরি করা, যাতে তারা মানুষের মতো সমস্যা সমাধান, শেখা ও চিন্তা করতে পারে।
4. AI-এর বিভিন্ন প্রকার কী কী?
মূলত তিন প্রকার —
-
Artificial Narrow Intelligence (ANI) – নির্দিষ্ট কাজ করে।
-
Artificial General Intelligence (AGI) – মানুষের মতো বুদ্ধিমান।
-
Artificial Super Intelligence (ASI) – মানুষের চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান (এখনও গবেষণাধীন)।
5. AI-এর ব্যবহার কোথায় হয়?
AI ব্যবহৃত হয় —
-
মোবাইল অ্যাপ (যেমন Google Assistant, Siri)
-
স্বয়ংক্রিয় গাড়ি
-
চিকিৎসা নির্ণয়
-
শিক্ষা ও অনলাইন লার্নিং
-
ব্যাংকিং ও সাইবার নিরাপত্তায়
6. মেশিন লার্নিং কী?
মেশিন লার্নিং হলো AI-এর একটি শাখা যেখানে কম্পিউটারকে ডেটা থেকে শেখানো হয় যাতে তারা নিজে নিজে কাজ উন্নত করতে পারে।
7. AI এবং মানব বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্য কী?
মানব বুদ্ধিমত্তা প্রাকৃতিক ও আবেগপূর্ণ, আর AI কৃত্রিম ও প্রোগ্রামভিত্তিক। মানুষ অভিজ্ঞতা থেকে শেখে, AI শেখে ডেটা ও অ্যালগরিদম থেকে।
8. AI-এর সুবিধা কী?
-
কাজের গতি ও নির্ভুলতা বৃদ্ধি
-
২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে
-
পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ সহজ করে
-
সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে
9. AI-এর অসুবিধা কী?
-
চাকরির সুযোগ কমে যেতে পারে
-
মানুষের সৃজনশীলতা হ্রাস পেতে পারে
-
প্রোগ্রামিং ত্রুটিতে ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে
-
গোপনীয়তা (Privacy) ঝুঁকিতে পড়তে পারে
10. AI-এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কী?
AI ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, পরিবহন ও নিরাপত্তা খাতে বিশাল পরিবর্তন আনবে। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার না হলে ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।