প্রশস্তি কাকে বলে? ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে তার গুরুত্ব কী? অশােকের লিপি থেকে তাঁর সম্বন্ধে কী জানা যায়?



◆ প্রথম অংশ : প্রাচীন ভারতের কোনাে রাজার সভাকবিকে দিয়ে সেই রাজার কোনাে কীর্তিকথা ভবিষ্যদ্বংশীয়দের কাছে প্রচার করার জন্য রাজার প্রশস্তিমূলক লিপি লেখানাে হত। এই রকম প্রশস্তিমূলক লিপিকে ‘প্রশস্তি’ বলা হয়। লােহা, সােনা, রুপা, পিতল, তামা, ব্রোঞ্জ, মাটির জিনিস, ইট, পাথর প্রভৃতি ছিল এই লিপির বাহন।
 উদাহরণ : 
১) এলাহাবাদস্তম্ভের গায়ে সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ লিখিত সমুদ্রগুপ্তের প্রশস্তি খােদাই করা হয়েছিল। 
(২) নাসিকে রয়েছে সভাকবি রবিকীর্তি রচিত চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর প্রশস্তি।

◆◆ দ্বিতীয় অংশ :প্রশস্তিতে আড়ম্বর ও অতিরঞ্জন কিছু থাকবেই, কিন্তু ঐতিহাসিক ঘটনার অকাট্য প্রমাণ হিসেবে প্রশস্তির প্রভূত মূল্য রয়েছে। ঐতিহাসিক কোনাে ঘটনার তারিখ নির্দিষ্ট করতে কিংবা ব্যক্তি ও ঘটনার মধ্যে সাযুজ্য নির্ধারণে প্রশস্তির উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রয়েছে। উদাহরণ: এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে সমুদ্রগুপ্তের দিগ্বিজয় সম্পর্কীত তথ্য পাওয়া যায়। ।
◆◆◆ তৃতীয় অংশ :অশােকের শিলালিপি থেকে তাঁর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে জানা যায়। উনিশ শতকের খ্যাতনামা প্রত্নতত্ত্ববিদ জেমস প্রিন্সেপ ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে অশােকের শিলালিপির পাঠোদ্ধার করে চিরস্মরণীয় হয়েছেন।
Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box