পানিপথের প্রথম যুদ্ধে (১৫২৬ খ্রি.) বাবরের জয়লাভের কারণ কী ছিল?
বাবর পাঞ্জাব জয় করার পর দিল্লির দিকে অগ্রসর হলে দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লােদিবাবরকে বাধা দেন। ফলে পানিপথের প্রান্তরে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ (১৫২৬ খ্রি.)
সূচনা: বাবর পাঞ্জাব জয় করার পর দিল্লির দিকে অগ্রসর হলে দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লােদিবাবরকে বাধা দেন। ফলে পানিপথের প্রান্তরে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ (১৫২৬ খ্রি.) বাধে। এই যুদ্ধে ইব্রাহিম লােদিকে পরাজিত ও হত্যা করে বাবর দিল্লির মসনদে বসেন ও ও মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা করেন।
বাবরের জয়লাভের কারণ ---
[1] কামানের ব্যবহার: ভারতের মাটিতে সর্বপ্রথম বাবরই কামান ব্যবহার করেন। কামানের গােলার সামনে ইব্রাহিম লােদির সৈন্যদের তিরধনুক, তরবারি ও বল্লম অকেজো হয়ে পড়ে এবং বাবর জয়ী হন।
[2] উন্নত রণকৌশল: বাবর যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নত ‘তুলঘুমা’ ও ‘রুমি পদ্ধতি অবলম্বন করেন| গােলন্দাজ বাহিনীর সঙ্গে তীব্রগতিসম্পন্ন উজবেকি অশ্বারােহী বাহিনীর মিলিত আক্রমণকে বলা হত ‘তুলঘুমা’ পদ্ধতি। গােরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়ি বা কাঠ-জাতীয় কিছু জিনিস সারিবদ্ধভাবে রেখে প্রথমে একটি কৃত্রিম প্রাচীর তৈরি করা এবং তার পিছনে মাটির ঢিবির ওপর কামান রেখে যুদ্ধ পরিচালনা করার নাম ছিল ‘রুমি’ পদ্ধতি। এই দুই পদ্ধতি অবলম্বন করায় বাবরের পক্ষে জয়লাভ অনেক সহজ হয়।
[3] বাবরের সাহসী নেতৃত্ব: বাবর ছিলেন একজন সাহসী ও দক্ষ সেনানায়ক| তিনি মধ্য এশিয়ার উজবেক, মােঙ্গল, পারসিক, তুর্কি প্রভৃতি জাতিগােষ্ঠীগুলির রণকৌশলের সেরা দিকগুলি নিয়ে একটি উন্নত রণনীতি গড়ে তােলেন। অপরদিকে সেনানায়ক হিসেবে ইব্রাহিম লােদি ছিলেন বাবরের তুলনায় অনেকটাই অদক্ষ ও
অনভিজ্ঞ| তাই বাবর সহজেই জয়লাভ করেন। সেনাবাহিনীতে ও সুশৃঙ্খল।
[4] দক্ষ ও সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী: বাবরের পদাতিক ও অশ্বারােহী সেনারা ছিল অত্যন্ত দক্ষ বাবরের প্রতি সেনাদের অটুট আনুগত্য ছিল।