Model Activity Task Answers Bengali Class 8 Part -4 (2021)
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১.'_________বিষয়ে
পৃথিবীতে কোন জাতি আরবদিগের তুল্য নহে।'
উত্তর
- আতিথেয়তা
১.২. '
আমার কাছে কিরূপ আচরণ প্রত্যাশা করো ? 'বক্তা হলেন -
উত্তর
-সেকান্দার
১.৩.পশ্চিমে
কঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।' টেনিদা একথা বলেছে –
উত্তর
-ক্যাবলা
১.৪. মাইকেল
মধুসূদন দত্ত যে জাহাজ থেকে তার বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন, সেটির নাম –
উত্তর
-সীলোন
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১. ' মন্ধতারি
আমল থেকে /চলে আসছে এমনি ' - কোন প্রসঙ্গে কবি এ কথা বলেছেন ?
উঃ কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বোঝাপড়া ' কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে ।এই লাইনের
মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন পৃথিবীর কোন মানুষে ই সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে
না আবার সকলে সব কিছু পায় ও না।কেউ বেশি পায় আবার কেউ কম পায়, কেউ প্রতারণার শিকার হচ্ছে ঠিক তেমনি সেও অন্য কাউকে
প্রতারিত করছে। তাই কবি এমন বলেছেন।
২.২.' আমার অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই ' বক্তার
একথা বলার কারণ কি ?
উঃ উপরোক্ত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা ' অদ্ভুত আতিথেয়তা ' থেকে এখানে বক্তা আরবসেনাপতি মুরসেনাপতি কে একথা বলার কারণ হলো গতরাতে যখন দুই সেনাপতি পরস্পর পরস্পরের পূর্বপুরুষের বিক্রম বর্ণনা করেছিল তখন আরব সেনাপতি জানতে পারেন এই আশ্রয়প্রার্থী মুরসেনাপতির নির্দেশেই তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল ফলে তার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ইচ্ছা জাগল আশ্রয়প্রার্থী আক্রমণ করতে পারবে না তাই পরদিন সকালে মুর সেনাপতি কে প্রস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়ে এ কথা বলেছিলেন।
২.৩. 'আন্টিগোনস ! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার
সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম '।আন্টিগোনস কোন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছিলেন ?
উঃ দ্বিজেন্দ্রলাল
রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত ' নাটকের সেকান্দার কাছে আন্টিগোনস যখন গুপ্তচর সন্দেহে চন্দ্রগুপ্ত
কে নিয়ে আসে তখন কথাপ্রকথনের মাধ্যমে জানা যায় গ্রিক সেনাপতি সেলুকাস সরল বিশ্বাসে
চন্দ্রগুপ্ত কে যুদ্ধকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে সেলুকাস ও অ্যান্টিগোনাস
এর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় এমনকি আন্টিগোনস সেলুকাসের ওপর তরবারি ও নিক্ষেপ করেছিল । আর সব ঘটেছিল সম্রাট
সেকেন্দারের সামনে । তাই সেকান্দার আন্টিগোনস এর কার্যকলাপকে ঔদ্ধত্য বলে মনে করেছিলেন।
.৪. 'তোদের মত উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি
' কোন কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল ?
উঃ নারায়ণ
গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ' বনভোজনের ' ব্যাপার গল্পটিতে পিকনিক দলপতি ছিলেন টেনিদা পিকনিকের
মেনু তৈরি করতে গিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার কিন্তু হঠাৎ করেই সুস্বাদু
মেনুর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন আলুভাজা , বাটি চচ্চড়ি। ক্যাবালা জুড়ে দিয়েছিল কঁরদুর
তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া। এত স্বাদের খাবারের মধ্যে এই খাবারগুলো টেনিদার মাথা গরম করে
দেয় ফলে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন।
২.৫. ' কৌতুহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে '
- চড়ুই পাখির চোখে কৌতুহল কেন ? উঃ কবি
তারাপদ রায়ের লেখা ' একটি চড়ুই পাখি ' কবিতায় চোখে কৌতুহল থাকার অন্যতম কারণ হল
কবির বাড়ির নির্জনতা। সাধারণত প্রত্যেক বাড়িতে একাধিক মানুষ থাকে একজন বাইরে বেরিয়ে
গেলে অপরজনকে বাড়ি দেখাশোনা করে। কিন্তু কবির বাড়ি ! কবি কল্পনা করেন তিনি চলে গেলে
চড়ুইটি ভাবে এই বাড়ির জানালা, টেবিল ,ফুলদানি সব তার হয়ে যাবে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের
ভাষায় লেখো।
৩.১. ' সবুজ জামা ' কবিতার ভাববস্তু
আলোচনা করো।
উঃ কবি
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'সবুজ জামা ' কবিতায় সহজ-সরল প্রকৃতিপ্রেমী তোতাই নামক এক
শিশুর কথা তুলে ধরেছেন। তো তাই নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থেকে পড়াশোনা করতে চায়
না । সে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেরিয়ে প্রকৃতিকে অনুভব করে মুক্ত থাকতে চাই ।সে বুড়ো
দাদুর মত চশমা দিয়ে জগত দেখতে চায়না ,সভ্যতার নকল মুখোশ খুলে সহজ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে
চায় ও সবুজ গাছের মতো জামা পরতে চায় যেখানে অনেক পশুপাখি এসে বসবে। কবিতায় সভ্যতা
জটিলতা থেকে বেরিয়ে সহজ-সরলভাবে জীবন যাপনের কথা বলা হয়েছে।
৩.২. বন্ধু রাজনারায়ণ বসু কে লেখা চিঠিতে মাইকেল মধুসূদন
দত্ত তাঁর লেখা ' মেঘনাদবধ ' কাব্য সম্পর্কে কিরূপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ?
উঃ লেখক
মধুসূদন দত্তের লেখা তিনটি চিঠির মধ্যে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল বিশিষ্ট বিদ্যা অনুরাগী
রাজনারায়ণ বসু কে। তিনি সেখানে ' মেঘনাদবধ ' কাব্য সম্পর্কে জানিয়েছিলেন । ৭৫০ লাইনের
কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের শেষ করেছেন মেঘনাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সে কথাও তিনি জানিয়েছে।
মেঘনাথ কে মারতে লেখোকের অনেক কষ্ট হয়েছে এমনকি তিনি কান্না করেছেন। এছাড়াও বলেছেন
অনেক হিন্দু মহিলা এ কাব্য পড়ে কেঁদে ফেলেছেন তাই তিনি চান রাজনারায়ণ বসু মহাশয়
ও যেন তার স্ত্রীকে এই বইটি পড়ার ব্যবস্থা করে দেন।
৩.৩. ' পরবাসী ' কবিতার শেষ চারটি পংতিতে কবির প্রশ্ন
বাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উঃ কবি 'পরবাসী ' কবিতায় সুন্দর বন, জঙ্গল প্রাকৃতিক পরিবেশের
অসাধারণ বর্ণনা করেছেন ঠিক তেমনি শেষের চারটে
লাইনে তিনি নিজ মন থেকে একাধিক প্রশ্ন রেখেছেন, তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রকৃতিকে নিয়ে
মানুষের এমন ব্যবহারের জন্য। তিনি প্রশ্ন করেছেন বন-জঙ্গল প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে
মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে না কেন ? মানুষ কেন চুপ রয়েছে ? গাছপালা প্রকৃতির কি কোন মূল্য
নেই ? তাদের কেন এত নগণ্য মনে করা হয় কেনো ? মানুষ বাসস্থান নির্মাণের জন্য একই স্থান
থেকে অন্য স্থানে ধ্বংস করে তাবুক আরে কিন্তু নিজের বাসভূমি নিজের ঘর করতে পারছে না।তাই
কবি এমন প্রশ্ন বাচক বাক্য ব্যবহার করেছেন।
৩.৪. ' কিন্তু এই রাতটির কথা আমার ভালোভাবে মনে আছে'
। 'পথচলতি ' রচনাংশ অনুসরণে লেখোকের এই রাতের অভিজ্ঞতা বিবরণ দাও ।
উঃ ভাষাবিদ
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ' পথচলতি' প্রবন্ধে তিনি বর্ণনা করেছেন কিভাবে গয়া
থেকে কলকাতা পর্যন্ত একটি ট্রেনের বগিতে পাঠান যাত্রীদের সাথে গল্পগুজব বন্ধুত্বের
সহিত ভ্রামণ করেছেন। সেই বগির পাঠান রা ছিল ইংরেজ দখলকৃত আফগানিস্তানের মানুষ ।তারা
পশতু ভাষী ছিলেন, ফারসি ভাষা জানতো না। প্রথমে লেখক পশতু ভাষার বিখ্যাত কবি খুশ হাল
খাঁ সম্পর্কে বললে তারা খুশি হয়ে যায় এমনকি তাদের মধ্যে একজন পশতু ভাষার গজল শুরু
করেছিলেন। এরপরে আদম খান ও দুররানি গল্প আলোচনা হয় এভাবেই লেখোকের চেষ্টাতে দেরাদুন
এক্সপ্রেস এই থার্ডক্লাস গাড়িটিতে একটি পশতু সাহিত্য সম্মেলন শুরু হয়ে গিয়েছিল।
সেই রাতের কোথায় লেখকের সারা জীবন মনে ছিল।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১. দল বিশ্লেষণ করে চিহ্নিত করো :
ইস্টিশান - ইস্ - টি - শন্ ( রুদ্ধ - মুক্ত - রুদ্ধ দল)
বাগুইআটি - বা - গুই - আ - টি (চারটি মুক্ত
দল) দর্ষনমাত্র - দর্- শন্ - মাত্ - র (রুদ্ধ,রুদ্ধ,রুদ্ধ,মুক্ত)
ক্ষিপ্রহস্ত - ক্ষিপ্ - রো - হস্ - ত
(রুদ্ধ,মুক্ত,রুদ্ধ,মুক্ত)
৪.২. উদাহরণ দাও :
মধ্যস্বরাগম - রত্ন > রতন ( যুক্ত
ব্যঞ্জন ধ্বনির মধ্যে স্বর ধ্বনির আগমন )
স্বরভক্তি - ধর্ম > ধরম
অন্তঃস্থ শ্রুতি - চা - এর > চায়ের
• কর্ম তার সাজে অন্য, লোকের লাঠি বাজে ।
- যে কাজে
যে পারদর্শী, তার পক্ষেই সেই কাজ করা সহজ।
• নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।
- দারিদ্র্যের
অসহ যন্ত্রণা ।
•
গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।
- অতি কাছের
জনের গুণের কদর হয়না।
• মারি তো গন্ডার,লুটি তো গন্ডার ।
- বড়ো
কোনো কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা।
• এক হাতে তালি বাজে না।
- দুই পক্ষের
দোষ থেকেই বিবাদ।