Model Activity Task Answers Environment Science Class 6 Part -4 (2021)
▣ ঠিক উত্তর নির্বাচন করো :
১.১ সিঙ্কোনা
গাছের ছাল থেকে পাওয়া যায় –
(ক) রজন
(খ) কুইনাইন (গ) রবার (ঘ) আঠা।
উত্তর:-
কুইনাইন গাছের ছাল থেকে সিঙ্কোনা পাওয়া যায়।
১.২ কৃষিক্ষেত্রে
সার হিসেবে যা ব্যবহৃত হয় তা হলো – (ক) নুন (খ) ম্যালাথায়ন (গ) কার্বারিল (ঘ) ইউরিরা।
উত্তর:
ইউরিরা কৃষিক্ষেত্রে সার হিসেবে যা ব্যবহৃত হয়।
১.৩ কার্বন
টেট্রাক্লোরাইডের সংকেত হলো – (ক) CCI (খ) CCl2 (গ) CCI4 (ঘ) CCL3।
উত্তর:
CCI4
▣ শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ সাগরকুসুম
আর ______ মাছের মধ্যে মিথোজীবী সম্পর্ক দেখা যায়।
উত্তর:
সাগরকুসুম আর ক্লাউন মাছ মাছের মধ্যে মিথোজীবী সম্পর্ক দেখা যায়।
২.২ কোনো
কঠিন পদার্থের বড়ো টুকরোকে ভেঙে ছোটো করা হলে ছোটো টুকরোগুলোর উপরিতলের মোট ক্ষেত্রফল
বড়োটার উপরিতলের ক্ষেত্রফলের তুলনায় _____ যায়।
উত্তর:-
বেড়ে।
২.৩ রান্নার
বাসনের হাতলে প্লাস্টিকের আস্তরণ দেওয়ার কারণ হলো ধাতুর চেয়ে প্লাস্টিকের তাপ পরিবহণের
ক্ষমতা _____।
উত্তর:
কম।
▣ একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ বিভিন্ন প্রাণীদের থেকে জামাকাপড় তৈরির উপাদান
পাওয়া যায় – উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:-
বর্তমানে বিভিন্ন প্রাণীর দেহের অংশ দিয়ে খুব দামী দামী পোশাক তৈরি হয়। সিল্কের উন্নত
মানের বস্ত্র, শীতের দিনে ব্যবহার করা গরম পোশাক কিংবা চামড়ার জ্যাকেট বর্তমানে তৈরি
হয় কোন না কোন প্রাণীর দেহের অংশ থেকে। নিচের ছকে বিভিন্ন প্রাণীদের থেকে জামা কাপড়
তৈরীর উপাদান এর একটি তালিকা দেওয়া হল:
৩.২ জল ও বালির মিশ্রণ থেকে কী কী উপায়ে বালিকে পৃথক করা যায়?
উত্তর:
জল ও বালির মিশ্রণ থেকে বালি কে পৃথক করতে আস্রাবন ও পরিস্রাবণ পদ্ধতি ব্যবহার করা
হয়। আস্রাবন পদ্ধতিতে জল ও বালির মিশ্রণ টিকে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে যখন বালি জলের নিচে
থেকে পড়বে তখন ধীরে ধীরে পাত্রটিকে ধরে একটু কাত করে উপরের পরিষ্কার জল কে একটি কাজ
দন্ডের গাবে ধীরে ধীরে অন্য একটি পাত্রে ঢালা হলো। এ সময় যেন পাত্রের তলায় পড়ে থাকা
বালির স্তরে বেশি নড়াচড়া না হয় তা লক্ষ্য রাখতে হয়।
পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে বালি জলের মিশ্রণ কে একটি
ফিল্টার কাগজ এর মাধ্যমে পৃথক করা হয়। ফিল্টার কাগজ এর একটি ফানেল তৈরি করে সেই ফানেলে
ওই মিশ্রণকে ধীরে ধীরে ঢাললে জল ফানেল এর ভেতর দিয়ে দ্বিতীয় পত্র জমা হবে এবং প্রথম
পত্রে বালি পড়ে থাকবে।
▣ তিন-চারটি
বাক্যে উত্তর দাও:
৪.১ স্ট্রেপ্টোমাইসেস হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া – বক্তব্যটির
যথার্থতা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে রোগ সৃষ্টি করে। আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যাদের
থেকে বিভিন্ন জীবাণুদের মেরে ফেলার ওষুধ তৈরি হয়। এদের থেকে ওষুধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
পাওয়া যায়। স্ট্রেপ্টোমাইসেস হলো এমনই একধরনের ব্যাকটেরিয়া। স্ট্রেপ্টোমাইসেস ব্যাকটেরিয়ার
বিভিন্ন প্রজাতি থেকে প্রায় 50 টারও বেশি ব্যাকটেরিয়ানাশক, ছত্রাকনাশক আর পরজীবীনাশক
ওষুধ পাওয়া যায়। স্ট্রেপ্টোমাইসিন, এরিথ্রোমাইসিন হলো স্ট্রোপ্টোমাইসেস থেকে পাওয়া
এরকমই কয়েকটা ওষুধ যা আমাদের শরীরে ঢুকে পড়া জীবাণুদের মেরে ফেলে।
৪.২ জলে দ্রবীভূত হওয়ার পরে নুনকে সেই দ্রবণ থেকে
ফিরে পেতে হবে। এই কাজে কোন পদ্ধতিটি – পরিস্রাবণ, না পাতন – অনুপযুক্ত এবং কেন?
উত্তর: নুন জল থেকে নুন ও জলকে আলাদা করতে দুটো পদ্ধতির মধ্যে পাতন উপযুক্ত পদ্ধতি। কারণ পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে জলে অদ্রবণীয় সুক্ষ কনা কে ফিল্টার কাগজ দিয়ে পৃথক করা যায় কিন্তু নুন জলে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়ে যায় যা অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও দেখা যায় না।
আংশিক পাতন
প্রক্রিয়ায় জলকে ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত করা হবে এবং সেই বাষ্পকে পুনরায় শীতল করার
মাধ্যমে জলে পরিণত করা হয়। উপরের চিত্রের ন্যায় একটি পাত্রে জল জমা হবে এবং শেষ পর্যন্ত
মূল পাত্রে নুন পড়ে থাকবে।