"কর্তা বলেন, সেখানেই তো ভূত" - কোন প্রসঙ্গে এবং কেন কর্তা এ কথা বলেছেন তা আলোচনা করো।

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে কিছু মানুষ দিনের বেলায় ভুতের নায়েবের ভয়ে চুপ করে থাকে। আবার তারাই বুড়ো কর্তার সামনে হাত জড়ো করে জিজ্ঞাসা

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে কিছু মানুষ দিনের বেলায় ভুতের নায়েবের ভয়ে চুপ করে থাকে। আবার তারাই বুড়ো কর্তার সামনে হাত জড়ো করে জিজ্ঞাসা করে তাদের ছাড়ার সময় হয়েছে কিনা। এই কথার উত্তরে বুড়ো কর্তা জানান যে তিনি তাদের ধরে রাখেন নি এমনকি ছেড়েও দেননি। বরং তারা যদি বুড়ো কর্তা কে ছেড়ে দেয় তবেই তারা বুড়ো কোথা থেকে ছাড়া পাবে। বুড়ো কর্তার ভয়ে যখন কিছু লোক ছাড়ার কথা তার কাছে জিজ্ঞাসা করে তখন তার উত্তরে তিনি জানান, তিনি ধরা বা ছাড়ার মালিক নয়। এর উত্তরে আবার লোক গুলো বলে ওটাই তো ভয়। কর্তার ভূত গল্পে এই প্রসঙ্গে প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি উক্ত হয়েছে। বুড়ো কর্তা সরাসরি জানিয়েছেন যে তার ধরাও নেই ছাড়াও নেই। একমাত্র মানুষের ভয়েই তার অবস্থান। লেখক এর মত অনুযায়ী মানুষের আত্মবিশ্বাস মনের জোর ইত্যাদির জন্য মানুষ সচেতন হয়ে উঠল সে ভয়হীন হয়ে ওঠে। এই কারণে গল্পটিতে তিনি বুড়ো কর্তার মুখ দিয়ে একথার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। যখন মানুষ অদৃশ্য কে ভয় পায় তখন খুব সহজেই ভূত তাদেরকে গ্রাস করতে পারে। মানুষের মৃত্যু অনিবার্য এই কারণে সব সময়ই প্রাচীন সভ্যতার ছত্রছায়ায় না থেকে জীবনকে বাস্তবমুখী করে তোলা উচিত। ভয় গ্রস্থ হয়ে জীবন কাটানো নিজেকে ভূতের মুখে ঠেলে দেওয়া। এই কারণে বুড়ো কর্তা আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box