"দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল" - কিভাবে দেশের লোক নিশ্চিন্ত হল তা আলোচনা করো।

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে আমরা বুড়ো কর্তার আভিজাত্য সম্পর্কে জানতে পারি। লেখক গল্পটিতে বুড়ো কর্তার আড়ালে আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতিকে আঘ


উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে আমরা বুড়ো কর্তার আভিজাত্য সম্পর্কে জানতে পারি। লেখক গল্পটিতে বুড়ো কর্তার আড়ালে আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতিকে আঘাত করেছেন। গল্পটিতে যখন বুড়ো কর্তার মৃত্যু অনিবার্য তখন দেশবাসীর প্রার্থনায় ভগবান তাদের আশ্বাস দিলেন। কর্তার ভূত গল্পে বুড়ো কর্তা ছিলেন অভিভাবক তাই তার মরন কালে দেশবাসীর প্রার্থনায় তিনি বললেন - দেশবাসীর ঘাটে তিনি ভূত হয়ে থাকবেন। যেহেতু মরণকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না তাই তার সমাধান হিসেবে ভগবান এই পথ তাকে বেছে দিলেন। তিনি চাইলেন বুড়ো কর্তা যেন দেশবাসীর ঘাড়ে ভূত হয়েই চেপে থাকেন, কারণ মানুষের মৃত্যু হলেও ভুতের তো মৃত্যু নেই।ভগবানের মুখে দেশবাসীরা এই আশ্বাস শুনে সবাই খুব খুশি হলেন। কারণ যারা দুর্বল ও ভীতু তারা সবসময়ই প্রাচীন কে আঁকড়ে ধরে চলতে চায়। এই জন্য অভিভাবক হিসাবে বুড়ো কর্তার ভূত কে পেয়ে তারা সবাই নিশ্চিন্ত হল। লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙ্গালী জাতির মেরুদন্ডহীনতাকে  পরিষ্কার করে তুলে ধরতে গল্পটি রচনা করেছেন। ব্রিটিশ শাসন হীন ভারতবর্ষের অবস্থা কিরূপ হবে তা নিয়ে যখন চিন্তিত ঠিক তখন ব্রিটিশ এর ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে থাকবে একথা শুনে দেশের লোকেরা খুব স্বাভাবিকভাবেই নিশ্চিন্ত হয়েছিল।

Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box