নােঙর কবিতাটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

1) সারারাত মিছে দাঁড় টানার অর্থ কী ? উঃ কবি ‘নােঙর' কবিতায় সারারাত মিছে দাঁড় টানার উল্লেখ করেছেন প্রচণ্ড হতাশায়। কারণ সারাজীবন পরিশ্রম করেও কোনাে
নােঙর কবিতাটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর


1) সারারাত মিছে দাঁড় টানার অর্থ কী ?
উঃ কবি ‘নােঙর' কবিতায় সারারাত মিছে দাঁড় টানার উল্লেখ করেছেন প্রচণ্ড হতাশায়। কারণ সারাজীবন পরিশ্রম করেও কোনাে ফল লাভ না করার কথা এখানে বােঝানাে হয়েছে। 
2) কবি কেন ‘নােঙর’ কবিতায় সারারাত মিছে দাঁড় টানার কথা বলেছেন? 
উঃ কবি ‘নােঙর' কবিতায় সারারাত মিছে দাঁড় টানার কথা বলেছেন। কারণ অসাবধানতার বশে কখন তটের কিনারে নােঙর পড়ে গিয়েছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। 
3)“সাগর গর্জনে ওঠে কেঁপে” কী ?
উঃ নােঙর কবিতায় কবির নিজস্ব অনুভূতিতে মনে হয়েছে জীবনের খণ্ড অবকাশে নীরব মুহূর্তগুলি সাগর-গর্জনে কেঁপে ওঠে।
4) ‘নােঙর’ কবিতায় কবির জীবনের নিস্তব্দ মুহূর্তগুলি আসলে কেমন? 
উঃ কবির জীবনের নিস্তব্দ মুহূর্তগুলি আসলে নিস্তব্দ নয়। কারণ সমুদ্রের গর্জনে তা কেঁপে ওঠে ও প্রতিবার দাঁড় টানতে গিয়ে কবি স্রোতের বিদ্রুপ শােনেন। 
5) “সমুদ্রের দিকে তারা ছােটে” – কারা, কেন সমুদ্রের দিকে ছােটে? 
উঃ নােঙর কবিতায় জোয়ারের ঢেউগুলি তীরে বাঁধা তরিতে মাথা ঠুকে সমুদ্রের দিকে ছােটে। কারণ তারা নৌকাকে সমুদ্রের পানে টেনে নিয়ে যেতে পারে না। 
6) “সারারাত মিছে দাঁড় টানি” – কে দাঁড় টানেন? তা তাঁর কাছে মিছে বলে মনে হয়েছে কেন?
উঃ ‘নােঙর’ কবিতায় কবি স্বয়ং মিছে দাঁড় টানেন। তাঁর কাছে এই দাঁড় টানা আর জীবনতরণিকে বয়ে নিয়ে যাওয়া সমার্থক। কল্পনায় এই নৌকা নিয়ে দূর দেশে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন জীবনের সার্থকতা অন্বেষণের জন্য। কিন্তু হাজার বার দাঁড় বাইলেও জীবনের নৌকা কিছুতেই এগােবে না। তাই দাঁড় টানা বৃথা।
7) “স্রোতের প্রবল প্রাণ করে আহরণ” – কী স্রোতের প্রাণ আহরণ করে? কেন করে? 
উঃ কবি অজিত দত্তের নােঙর' কবিতায় জোয়ারের পরই আসে ভাটার শােষণ, যা স্রোতের প্রবল প্রাণকে দুর্বল করে।
জাগতিক নিয়ম অনুসারে জোয়ারের পর ভাটা এবং ভাটার পর আসে জোয়ার। জোয়ারের প্রবল জলােচ্ছ্বাসকে ভাটার শােষণ হরণ করে নেয়। কবি মনে করেন মানুষের চাওয়া-আশা-আকাঙ্ক্ষার ঢেউগুলিকে বাস্তবরূপী ভাটা শুষে নেয়, না পাওয়ার হতাশাই ভাটার স্রোতের শােষণ। 
8) “সাগর গর্জনে ওঠে কেঁপে” – কী সাগর-গর্জনে কেঁপে ওঠে? কেন?
উঃ সাগর-গর্জনে কেঁপে ওঠে জীবনের নিস্তব্দ মুহূর্তগুলি। জীবনের নানা কর্মব্যস্ততার মাঝে একক খণ্ড অবকাশের মুহূর্তগুলি যেন সাগরের ঢেউয়ের গর্জনে কেঁপে ওঠে।
এই জীবনের ক্ষণিকের অবসরে থমকে যাওয়া নিস্তব্ধ মুহূর্তগুলি অনবরত আছড়ে পড়া সাগরের প্রতিকূলতার ঢেউয়ে কেঁপে কেঁপে ওঠে। কারণ অন্য অর্থে এই সাগরের ঢেউ পারিপার্শ্বিক বাহ্যিক প্রতীক। জীবনের কোনাে একক শান্তির মুহূর্তকে সে নিস্তব্ধ থাকতে দেয় না।
9) “আমার বাণিজ্যতরী বাঁধা পড়ে আছে” – আমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর বাণিজ্যতরী কোথায়, কেন বাঁধা পড়ে আছে?
উঃ এখানে আমার’ বলতে কবি নিজেকেই বুঝিয়েছেন। কবি বলতে চেয়েছেন জোয়ার-ভাটা যেমন নদীর নিত্যকর্মের মধ্যে পড়ে তেমনি মানুষের জীবনেও সুখ-দুঃখ নিত্য প্রবহমাণ সত্তা। এই সত্তা ঢেউ-এর দ্বারা লালিত আর জীবন-তটের কাছে বাঁধা পড়ে আছে কবির জীবনের বাণিজ্যতরী।

Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box