আকাশে সাতটি তারা কবিতা থেকে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

1) ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি কখন ঘাসে বসে থাকেন? উঃ আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠার সময় কবি জীবনানন্দ দাশ ঘাসে এসে বসেন। 2) বাংলার বুকে নামা সন্ধ্য
আকাশে সাতটি তারা কবিতা থেকে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

1) ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি কখন ঘাসে বসে থাকেন? 
উঃ আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠার সময় কবি জীবনানন্দ দাশ ঘাসে এসে বসেন। 
2) বাংলার বুকে নামা সন্ধ্যাকে কবি কী রঙের বলে বর্ণনা করেছেন? 
উঃ বাংলার বুকে নামা সন্ধ্যাকে কবি নীল রঙের বলে বর্ণনা করেছেন। 
3) বাংলার বুকে নেমে আসা সন্ধ্যাকে কবি কোন বিশেষণে ভূষিত করেছেন? 
উঃ বাংলার বুকে নামা সন্ধ্যাকে কবি শান্ত, অনুগত, নীল ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করেছেন। 
4) আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি কীসের ঘ্রাণ অনুভব করেন ? 
উঃ ‘আকাশে সাতটি তারা’কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ কলমি শাক, চাদা ও সরপুঁটি মাছের গন্ধ অনুভব করেন।
5)‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি কীসের গন্ধ পান? 
উঃ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ নরম ধানের গন্ধ ঘ্রাণেন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করেন।
6) “আমি এই ঘাসে বসে থাকি।” – কে, কখন, কোথায় বসে থাকে? 
উঃ ‘আকাশে সাতটি তারা’ নামক কবিতায় জীবনানন্দ দাশ ঘাসের ওপর বসে থাকেন। যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন কবি ঘাসের উপর বসে সান্ধ্য প্রকৃতির রূপ-রস অনুভব করেন।
7) “আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি পাই টের।” – আমি কে? তিনি কী টের পান?
উঃ উদ্ধৃত অংশে ‘আমি’অর্থে কবি জীবনানন্দ দাশ।
দিনের শেষে যখন বাংলার বুকে সন্ধ্যা নেমে আসে, তখন কবি টের পান আকাশে এক কেশবতী কন্যার আগমনবার্তা। সেই নারী যেন চুল দিয়ে জাম-কাঠাল-হিজলের বনে চুম্বনরত। তিনি নরম ধানের গন্ধ বা কলমির ঘ্রাণে, পুকুরের জলে বা হাঁসের পালকে অনুভব করেন পল্লিবাংলার আসল রূপ।
8) “গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে” – কী ডুবে গেছে? তার বৈশিষ্ট্য লেখাে। 
উঃ কবি জীবনানন্দ দাশের ‘আকাশে সাতটি তারা’ নামক কবিতায় গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে অর্থাৎ সাগরজলে মেঘ বিলীন হয়েছে বলে কবি কল্পনা করেছেন।
এই মেঘের রং কামরাঙা ফলের মতাে লাল। তাই কবির মনে হয়েছে, মৃত মনিয়া পাখি জলে রক্ত ছড়িয়ে ডুবে গেল।
9)“এরই মাঝে বাংলার প্রাণ”-কোন সবের মাঝে বাংলার প্রাণকে অনুভব করেন কবি? 
উঃ ‘আকাশে সাতটি তারা’কবিতায় কবির কাছেরূপসি বাংলা যেন প্রাণময়ীমূর্তি। নরম ধানের মিষ্টি গন্ধে, কলমির ঘ্রাণে, জলে ভেজা হাঁসের পালকে, শরবনে, পুকুরের জলে, চাঁদা-সরপুঁটির মৃদু আঁশটে গন্ধে, কিশােরীর চালবােয়া ভিজেশীতল হাতে, কিংবা পাকা বটফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতায় তিনি বাংলার চিরন্তন প্রাণকে খুঁজে পান।
Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box