'আবহমান’ কবিতা অবলম্বনে কবির প্রকৃতিচেতনার পরিচয় দাও।

উঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তার প্রথম কাব্যেই সমাজের ক্লেদাক্ততার বাইরে গিয়ে নির্মল প্রকৃতির ছোঁয়ায় যাত্রা শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃতিচেতনা তার রক্তে। তার অন্ধকার বারান্দা’ নামক কাব্যের অন্তর্গত ‘আবহমান’ কবিতাটিও এর ব্যতিক্রম নয়।

আলােচ্য কবিতার শুরুতেই যে চারটি চরণ রয়েছে তা মােট চারবার ব্যবহৃত হয়েছে। সমগ্র কবিতায়। লক্ষ করলে দেখা যাবে উঠোন, লাউমাচা, ছােট্ট ফুল, সন্ধ্যার বাতাস— এ সবই গ্রাম্য প্রকৃতির অনুষঙ্গ। এদের যথার্থ ব্যবহারে কবিতায় জন্মভূমির প্রতি আবহমান কাল ধরে চলে আসা টান ব্যক্ত করা হয়েছে। এভাবে তিনি প্রতিটি মানুষের ফেলে আসা শৈশবের খেলাঘরে ফেরার চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা ফুটিয়ে তুলেছেন অনবদ্য ভঙ্গিমায়। ঘাসের গন্ধ, তারার স্বপ্ন, -নেভা যন্ত্রণার আগুন, না-বাসি হওয়া দুঃখ কুন্দ ফুলের মাধ্যমে ফুটে ওঠা, সূর্যের ওঠা-নামা,সন্ধ্যার বাতাস ইত্যাদি প্রকৃতির অনুষঙ্গকে সচেতনভাবে ব্যবহার করেছেন কবি। এতে তাঁর প্রখর প্রকৃতিচেতনার পরিচয় মেলে।
Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box