“স্রোতের বিদ্রুপ শুনি প্রতিবার দাঁড়ের নিক্ষেপে।” –‘স্রোতের বিদ্রুপ’ কবিকে কীভাবে ব্যথিত করেছে আলােচনা করাে।
উঃ নােঙর কবিতার আলােচ্য পংক্তিতে কবি অজিত দত্ততার রােমান্টিক মন নিয়ে আসামের সন্ধানে পাড়ি দিতে চান। অজানা-অদেখা স্বপ্নময় জীবন-জগৎ আর দশটা মানুষের ম
উঃ নােঙর কবিতার আলােচ্য পংক্তিতে কবি অজিত দত্ততার রােমান্টিক মন নিয়ে আসামের সন্ধানে পাড়ি দিতে চান। অজানা-অদেখা স্বপ্নময় জীবন-জগৎ আর দশটা মানুষের মতো কবিচিত্তকেও চঞ্চল করে। কিন্তু কবির নৌকা আর এগােয় না। আসলে তার অজান্তেই কখন নােঙর পড়ে গিয়েছে খেয়াল করেননি কবি।
কবি সংসারের মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ। রােমান্টিক মন নিয়ে সুদূরে পাড়ি দিতে চাইলেও কর্মের বন্ধনে বাঁধা তিনি। নৌকা এগুচ্ছে না দেখে সারারাত দাঁড় বেয়েছেন, পাল তুলে দিয়েছেন। বৃথা চেষ্টা করেও নিজের হৃদয়কে শান্ত করতে পারেন না কবি। নদীর স্রোত এসে আছড়ে পড়ে নৌকায়, নদীপারে। এটা কবির কাছে মনে হয়েছে স্রোতের ঠাট্টা-পরিহাস। কবির জীবন স্থিতিশীল আর নৌকা গতিশীল হলেও কবি বসে থাকায় নােঙর পড়ে গেছে। তাই গতিশীল স্রোত স্থিতিশীল নৌকা ও তার আরােহীকে বিদ্রুপ, উপহাস করে বলে কবির মনে হয়েছে। সংসারের বালুকাবেলায় বাঁধা পড়ে আছেন কবি। এ থেকে তার মুক্তি নেই। ফলে স্রোতের বিদ্রুপ, ঠাট্টা শুনেও কবি নিরুপায়। আর তাই শেষ পর্যন্ত কবিচিত্ত ব্যথিত হয়ে উঠেছে।