গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে কী জানাে ?

উত্তর: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের সভাপতিত্বে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ১৯৪৯ সালে তার প্রতিবেদন পেশ করে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে গ্রামের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রামজীবনের সঙ্গে সমন্বয়সাধনের সুপারিশ করে। এই উদ্দেশ্যে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং পল্লি উন্নয়ন, কৃষি, জনশিক্ষা, গ্রামীণ শিক্ষার রূপরেখা, পাঠক্রমে গ্রামীণ বিষয় সংযােজন, গ্রামজীবন সম্পর্কে গবেষণা ইত্যাদির উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাব সরকার পুরােপুরি গ্রহণ করেনি। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ প্রদানের জন্য তাই ১৯৫৬ সালে ‘National Council of Rural Higher Education (NCRHE) গঠন করা হয়। NCRHE-এর সুপারিশ অনুযায়ী দেশের নানা স্থানে ১৪-১৫টি Rural Institute গঠন করা হয়। এরাজ্যেও শ্রীনিকেতনে এরূপ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। NCRHE-এর সুপারিশে গ্রামীণ অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, সমবায়, সমষ্টি উন্নয়নের মতাে বিষয়ে পঠনপাঠন ও ডিগ্রি প্রধানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে হাতে গােনা কয়েকটি বিষয়ে ডিগ্রি ও সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে। এই কমিশনের কোর্সগুলি হলাে -

কৃষিবিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স ও মেয়াদ-২ বছর।
গ্রামীণ বিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স ও মেয়াদ-২ বছর। 
গ্রামসেবা বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা কোর্স ও মেয়াদ-৩ বছর। 
সিভিল ও রুরাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সার্টিফিকেট কোর্স – ৩ বছর। 
সেনেটারি ইন্সপেক্টর-এর সার্টিফিকেট কোর্স-১ বছর। 
Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box