দশম শ্রেণীর বাংলা অদল বদল গল্পের ছোটো প্রশ্নোত্তর
অদল বদল গল্পের বিষয়বস্তু
অদল বদল গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর
অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2023
অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর mcq
অদল বদল গল্পের উৎস
অদল বদল
1.'অদল বদল' গল্পটি কে বাংলায় তরজমা করেছেন? (মাধ্যমিক, ২০১৭)
উত্তরঃ 'অদল বদল' গল্পটিকে বাংলায় তরজমা করেছেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।
2.কোন্ সময়ে ছেলেরা খেলছিল?
উত্তরঃ হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেলবেলায় ছেলেরা খেলছিল।
3.ছেলেরা কীভাবে খেলছিল?
উত্তরঃ নিম গাছের নীচে একদল ছেলে জড়ো হয়ে ধুলো ছোড়াছুড়ি করে খেলছিল।
4.অমৃত ও ইসাবদের বাড়ি কোথায়?
উত্তরঃ অমৃত ও ইসাবদের একই গ্রামে রাস্তার মোড়ে মুখোমুখি বাড়ি।
5.অমৃত ও ইসাবের বাবার মধ্যে কীরকম সাদৃশ্য ছিল?
উত্তর: অমৃত ও ইসাবের বাবা দুজনেই ছিলেন পেশায় চাষি, দুজনের জমিও ছিল প্রায় সমান সমান। দুজনেই আপদে-বিপদে সুদে টাকা ধার নিতেন।
6.বলতে গেলে ছেলে দুটোর সবই একরকম, তফাত শুধু এই যে,'—তফাতটা কী? (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: অমৃত ও ইসাবের মধ্যে সমস্ত বিষয়ে সাদৃশ্য সত্ত্বেও তফাত ছিল এই যে, অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা আর তিন ভাই আছে আর ইসাবের বাড়িতে শুধু তার বাবা আছে।
7.অমৃতের বাড়িতে কে কে আছে?
উত্তরঃ অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা আর অমৃতের তিন ভাই আছে।
8. ‘আরেকটি ছেলে চেঁচিয়ে উঠল, '—কী বলে চেঁচিয়ে উঠল?
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশে উদ্দিষ্ট ছেলেটি চেঁচিয়ে উঠে যা বলেছিল তা হল, 'লড়ে যা তোরা, বেশ মজা হবে।'
9.“ইসাব অমৃতের দিকে তাকাল।”—ইসাবের অমৃতের দিকে তাকানোর কারণ কী?
উত্তরঃ ছেলের দল থেকে দু-একটি ছেলে দুই বন্ধু ইসাব ও অমৃতকে তাদের নিজেদের মধ্যে কুস্তি লড়তে বললে ইসাব অমৃতের দিকে তাকাল।
10. অমৃত দৃঢ়স্বরে বলল,'— কী বলল ?
উত্তর: অমৃত তার মায়ের হাতে মারের ভয়ে দৃঢ়স্বরে কুস্তি লড়তে অস্বীকার করল।
11.‘না, তাহলে মা আমাকে ঠ্যাঙ্গাবে।'—মা-র ঠ্যাঙাবার কারণ কী?
উত্তর: পাড়ার ছেলেরা যখন ইসাব আর অমৃতকে কুস্তি লড়ার কথা বলে তখন অমৃত তাদের জানায় যে, কুস্তির কারণে তার নতুন জামা ছিঁড়ে গেলে বা নোংরা হলে তার মা তাকে ঠ্যাঙাবে।
12.অমৃত তার বাবা-মাকে কী কারণে জ্বালিয়েছিল?
উত্তরঃ অমৃত ও ইসাব দুই বন্ধু। ইসাবের বাবা ইসাবকে একটি নতুন জামা কিনে দিয়েছিলেন। অমৃত ইসাবের মতো একটা নতুন জামার প্রত্যাশায় বাবা-মাকে ভীষণ জ্বালিয়েছিল।
13.‘অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল,’—অমৃত কী ‘ফতোয়া’ জারি করেছিল? (মাধ্যমিক, ২০২০)
উত্তর: অমৃত ফতোয়া জারি করে জানিয়েছিল, ঠিক ইসাবের মতোই জামা তার চাই; তা না হলে সে স্কুলে যাবে না।
14. নতুন জামা আদায়ের জন্য অমৃত নিজের পুরোনো জামাটিকে কী করেছিল?
উত্তর: নতুন জামা আদায়ের জন্য অমৃত নিজের পুরোনো জামার ছেঁড়া অংশে আঙুল ঢুকিয়ে আরও ছিঁড়ে দিয়েছিল।
15.মা অমৃতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য কী বলেছিলেন?
উত্তর: মা অমৃতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এমন কথাও বলেছিলেন যে, নতুন জামা পাওয়ার আগে ইসাব তার বাবার কাছ থেকে খুব মার খেয়েছিল। অমৃত সেইরকম মার খেতে রাজি আছে কিনা তা তিনি জিজ্ঞাসা করেন।
16.“অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”—অমৃত কেন পিছপা হতে রাজি নয় ?
উত্তরঃ অমৃত ইসাবের মতো নতুন জামা কেনার জেদ ধরেছিল। তার সেই জেদ দূর করার জন্য অমৃতের মা জানিয়েছিলেন যে, ইসাব নতুন জামা পাওয়ার আগে বাবার কাছে খুব মার খেয়েছিল। এ কথা শুনেও অমৃত পিছপা হয়নি।
17.“ঠিক আছে, তোর বাবাকে গিয়ে বলগে।'—কী বলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ইসাবের মতো অমৃতও যে নতুন জামা চাইছে, সেই কথাই তার বাবাকে জানানোর কথা বলা হয়েছে
18.‘ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল, — স্কুল বন্ধ করার কারণ কী ?
উত্তর: ইসাবের নতুন জামার মতো অমৃতও নতুন জামা পরার জেদ করেছিল আর সেই নতুন জামা পাওয়ার জন্যই জেদ করে সে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
19.অমৃত নতুন জামার জন্য কোথায় লুকিয়েছিল?
উত্তরঃ অমৃত নতুন জামার জন্য ইসাবের বাবার গোয়ালঘরে লুকিয়েছিল।
20.‘এসো, আমরা কুস্তি লড়ি’—কে, কাকে বলেছিল? (মাধ্যমিক, ২০১৮)
উত্তর: ছেলের দল থেকে কালিয়া নামের একটি ছেলে এসে অমৃতের গলা জড়িয়ে ধরে উপরোক্ত উক্তিটি করেছিল।
21.কালিয়া অমৃতের সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করেছিল?
উত্তর: অমৃতের অনিচ্ছাসত্ত্বেও কালিয়া তাকে খোলা মাঠে এনে কুস্তি লড়ার নামে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।
22.‘ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল,'—কী কারণে ছেলের দল চেঁচিয়ে উঠেছিল?
উত্তর: ওর কুস্তি লড়তে অসম্মত অমৃতকে কালিয়া ছুঁড়ে ফেলে দিলে, ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠেছিল কারণ কালিয়ার সঙ্গে কুস্তির লড়াইতে কালিয়া জিতেছিল আর অমৃত পরাজিত হয়েছিল।
23.“ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।”—ইসাবের কেন মেজাজ চড়ে গিয়েছিল?
উত্তৱ: কুস্তি লড়তে অনিচ্ছুক অমৃতকে কালিয়া মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিলে ছেলের দল কালিয়ার জয়ধ্বনি দিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে। তাই বন্ধুবৎসল ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল।
24.কালিয়ার হাত ধরে ইসাব কী বলেছিল?
উত্তর: কালিয়ার হাত ধরে ইসাব বলেছিল ‘আয়, আমি তোর সঙ্গে লড়ব।'
25. ইসাবের ল্যাং খেয়ে কালিয়ার কী অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর: ইসাবের ল্যাং খেয়ে কালিয়া ব্যাঙের মতো হাত-পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে চিৎকার করতে শুরু করেছিল।
26.“অমৃত আর ইসাবও রণভূমি ত্যাগ করল”—অমৃত ও ইসাব রণভূমি ত্যাগ করেছিল কেন?
উত্তর : বন্ধু অমৃতকে বাঁচাতে ইসাব কালিয়াকে ল্যাং মারায় সে ব্যাঙের মতো হাত-পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে চিৎকার শুরু করেছিল। পরিস্থিতি গুরুতর দেখে অমৃত ও ইসাব উভয়ে রণভূমি ত্যাগ করেছিল।
27.ইসাবের জামা কোথায় ছিঁড়ে গিয়েছিল?
উত্তর: ইসাবের জামার পকেট ও ছয় ইঞ্চির মতো কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল।
28.“ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল।”—তারা কী কারণে ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: অনেক কষ্ট করে ইসাবের বাবা নতুন জামা কিনে দিয়েছিলেন,আর সেই জামা প্রথম দিনেই ইসাব ছিঁড়ে ফেলেছে দেখামাত্র ইসাবের বাবা তাকে খুব মারবেন—সেই ভয়ে ওরা কাঠ গিয়েছিল।
29.ইসাবের বাবা কীভাবে ইসাবকে জামা বানিয়ে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ইসাবের বাবা সুদখোরের কাছ থেকে টাকা ধার করে অনেক বাছাবাছি করে কাপড় কিনে ইসাবকে জামা সেলাই করিয়ে দিয়েছিলেন।
30. হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল,'— বুদ্ধির পরিচয় দাও।
উত্তরঃ কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের নতুন জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল। ইসাবের বাবা জানতে পারলে প্রহার ছিল অবধারিত। কিন্তু অমৃত আর ইসাবের জামা যেহেতু একরকম তাই অমৃত ইসাবের ছিঁড়ে যাওয়া জামা নিজে পরে ইসাবকে তার ভালো জামা পরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বুদ্ধির পরিচয় ছিল।
31.‘‘আমার সঙ্গে আয়।'—অমৃত ইসাবকে এমন নির্দেশ দিল কেন? (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় ইসাব তার বাবার কাছে মার খাবে এই আশঙ্কা ছিল। তাই অমৃত ইসাবের জামা নিজের জামার সঙ্গে বদল করবে বলেই তাকে নির্দেশ দিয়েছিল।
32.‘কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে।'— ইসাবকে বাঁচানোর প্রয়োজন হবে কেন?
উত্তরঃ কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাব জামা ছিঁড়ে ফেলেছে দেখে, ইসাবের বাবার প্রহারের হাত থেকে ইসাবকে বাঁচাতে অমৃত নিজের ভালো জামাটি তাকে পরিয়ে দেয় এবং ইসাবের ছেঁড়া জামা সে নিজে পরে নেয়। নতুন জামা প্রথম দিনেই ছিঁড়ে এনেছে দেখতে পেলে তার বাবা তাকে মারবেন এবং সেই কারণে ইসাবকে বাঁচানোর প্রয়োজন হবে।
33.“ভয়ে অমৃতের বুক ঢিপঢিপ করছিল।”—অমৃতের কেন বুক ঢিপঢিপ করছিল?
উত্তর: ইসাবের ছেঁড়া জামা বদল করে অমৃত নিজে পরে নিয়েছিল; কিন্তু তার নিজের জামা ছেঁড়া দেখে যদি তার মা তাকে বকুনি দেন, সেই আশঙ্কায় অমৃতের বুক ভয়ে ঢিপঢিপ করছিল।
34. অমৃতের মা কেন জামা ছিঁড়ে যাওয়া সত্ত্বেও তাকে কিছু বললেন না?
উত্তরঃ হোলির দিন কিছুটা ধস্তাধস্তি, টানাহ্যাঁচড়া চলে—অমৃতের মা তা জানতেন। তাই প্রথমে তিনি অমৃতের ছেঁড়া জামা দেখে ভুরু কোঁচকালেও পরে ছেঁড়া জায়গাটা রিফু করে দিয়েছিলেন।
35.‘এতে দুজনেরই ভয় কেটে গেল,'—ভয় কাটার কারণ কী?
উত্তর: কুস্তির কারণে ছিঁড়ে যাওয়া জামা অদলবদল করেও ইসাব ও অমৃত কেউই বাড়িতে মার খেল না। ইসাবের ছেঁড়া জামা বদলে অমৃত বাড়িতে পরে গেলে তার মা প্রথমে ভুরু কোঁচকালেও পরে মাফ করে দিয়ে জামা রিফু করে দিয়েছিলেন। এতেই দুজনের ভয় কেটে গিয়েছিল।
36.অমৃত ও ইসাব হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে কী দেখতে গিয়েছিল?
উত্তরঃ বাবা-মায়ের প্রহারের হাত থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে অমৃত ও ইসাব মনের আনন্দে হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে হোলির সময়ের বাজি আর বুড়ির বাড়ি পোড়ানো দেখতে গিয়েছিল।
37.‘এই আশঙ্কা করে তারা চলে যেতে চাইল।'—তারা কী আশঙ্কা করেছিল?
উত্তরঃ অমৃত-ইসাব গোপনে জামা অদলবদল করেছিল নিজেদের মধ্যে, যাতে ছেঁড়া জামার জন্য ইসাবকে বাবার কাছে মার খেতে না হয়। কিন্তু তাদের এই অদলবদলের ঘটনা একটি ছেলে দেখে ফেলেছিল। তারা আশঙ্কা করেছিল ছেলেটি হয়তো সেই ঘটনা সবাইকে বলে দেবে। তাই ভয়ে তারা চলে যেতে চেয়েছিল।
38.ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরে কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘বাহালি বৌদি, আজ থেকে আপনার ছেলে আমার।'
39.“চেঁচিয়ে বললেন, ‘বাহালি বৌদি’, আজ থেকে আপনার ছেলে আমার’।”—ইসাবের বাবা অপরের ছেলেকে কেন নিজের করতে চেয়েছিলেন?
উত্তরঃ ইসাবের বাবা ইসাব ও অমৃতের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের কথা জানতেন, শুধু তাই নয় ইসাবের প্রতি অমৃতের বন্ধুবৎসলতা দেখে তিনি মুগ্ধ হন। তাই তিনি নিজের ছেলে ইসাবের সঙ্গে অমৃতের কোনো ব্যবধান রাখতে চাননি।
40.আবেগ ভরা গলায় হাসান বললেন'— কী বললেন?
উত্তরঃ আবেগ ভরা গলায় হাসান বলেছিলেন যে, অমৃতের মতো ছেলে পেলে তিনি একুশজনকেও পালন করতে রাজি আছেন।
41.অমৃত কী জবাব দিয়েছিল জানেন?’—জবাবটি লেখো।
উত্তরঃ জামা পরিবর্তনের প্রসঙ্গে ইসাব অমৃতকে তার বাবার প্রহারের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে অমৃত জবাবে বলেছিল, তাকে রক্ষা করার জন্য তার মা রয়েছেন। -
42.‘এবার অবশ্য ইসাব ও অমৃত অপ্রস্তুত বোধ করল না’,— অমৃত ও ইসাব কেন অপ্রস্তুত বোধ করল না?
উত্তরঃ হোলির পড়ন্ত বিকেলে অমৃত ও ইসাবের জামা অদলবদলের ঘটনা যখন গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং মা-বাবাসহ গ্রামের সকলে প্রশংসা করতে শুরু করে—তখন ছেলেরা ‘অমৃত-ইসাব অদল-বদল’ রব তুললে অমৃত-ইসাব অপ্রস্তুত বোধ করেনি।
43.‘অদল-বদলের গল্প' গ্রামপ্রধানের কানে গেলে তিনি কী ঘোষণা করেছিলেন? (মাধ্যমিক, ২০১৯)
উত্তরঃ ‘অদল-বদলের গল্প’ গ্রামপ্রধানের কানে গেলে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, অমৃতকে ‘অদল’ ইসাবকে ‘বদল’ বলে ডাকা হবে।
44.কোন্ আওয়াজে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছিল?
উত্তরঃ আকাশ-বাতাস ‘অমৃত-ইসাব অদল-বদল, অদল-বদল’ এই আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছিল ।